কৃষক যে ফসল ফলান, তা যদি তিনি সময়মত বিত্রিক্র করতে না পারেন, তা হলে তাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। বাজারজাত সমস্যার কারণে কোনো এলাকায় বাম্পার ফলনে দাম পড়ে যায়। আবার অন্য এলাকায় ভোক্তাদের তা চড়া দামে ত্রক্রয় করতে হয়। তা যেন না হয়, সে জন্য মোবাইল, ফেসবুক ও ওয়েবসাইটে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ই-কৃষি। ডিজিটাল কৃষির বদৌলতে উৎপাদন যেমন বাড়ছে, তেমনি কৃষকের মাঠের ফসল সরাসরি চলে আসছে রাজধানীর বড় বড় দোকানগুলোতে। মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম থেকে মুক্তি মিলছে ভোক্তা ও কৃষকের।
গোটা বিশ্ব তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির জোয়ারে ভাসছে। উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। কৃষি প্রধান বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সাথে, সময়ের সাথে তালমিলিয়ে। কৃষকের দোর গোড়ায় পৌছে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির সেবা। মোবাইল ফোন, রেডিও, টিভি, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, সিনেমা সবই কৃষক তথ্য সেবার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বরগুনার আমতলীতে কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে কমিউনিটি রেডিও চালু হয়েছে। বেসরকারি ১৩ রেডিও কৃষি তথ্য সেবা দিচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বাংলাদেশে কৃষি গবেষণায় ব্যবহার করা হচ্ছে অক্টো-কপ্টল্টার। গবেষকরা জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই ড্রোন, কৃষকদের ক্ষেত ও ফসল সম্পর্কে দ্রুত নির্ভুল তথ্য দেবে। মোবাইল ফোন কলের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা সমাধানের সেবা পাচ্ছেন দেশের প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক। সরাসরি ১৬১২৩ এবং ৬৭৬৭ নম্বরের মাধ্যমে সমাধান মিলছে। ১৬১২৩ নম্বরে ফোন দিলে খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে তথ্য সেবা পাচ্ছেন কৃষক। আর ৬৭৬৭ নম্বরের মাধ্যমে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তথ্য জানতে পারেন বা কৃষি কর্মকর্তাকে মাঠে ডেকে নিতে পারেন কৃষক। মোবাইলে কৃষি সেবা আরো সহজ করতে দেশের ১৪ হাজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে মোবাইল কোম্পানি বাংলালিংক সিম প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কৃষি তথ্যের প্রচলন প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সঠিক কৃষি তথ্য সহজলভ্য করার জন্য ১৫০ গ্রামে একটি করে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। আরও ৯০ গ্রামে একটি করে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলছে। তৈরী করা হয়েছে কৃষকের ডাটাবেউজ। এ ডাটাবেইজের তালিকা ধরে ধরে কৃষকের উপকরণ, ১০ টাকায় ব্যাংক হিসেব খোলা ও কৃষি ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কৃষি কল সেন্টারের মাধ্যমেও কৃষকদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি তথ্য সার্ভিস ও প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের উদ্যোগে কৃষি কল সেন্টার সেবা দিচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল কৃষি তথ্যের প্রচলন প্রকল্পের পরিচালক ড. রাধেশ্যাম সরকার বলেন, দেশজুড়ে বিনামূল্যে মোবাইলে কল করে সেবা নিতে পারছেন কৃষক। তৃণমূল পর্যায়ে ২৪৫টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কৃষি ও কমিউনিটি রেডিও। প্রতিনিয়ত তৈরি করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপস। দেশের ১৫টি চিনিকলের সব আখ চাষী এখন এসএমএস এর মাধ্যমে আগাম বিপনন তথ্য পাচ্ছেন। ফলে আখচাষীদের দীর্ঘ দিনের বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। কৃষকদের আধুনিক কৃষিকাজে যুক্ত করার জন্য ১০ জেলায় এআইসিটি ল্যাব (কৃষি তথ্য যোগাযোগ কেন্দ্র) স্থাপিত হয়েছে। এআইসিটি সদস্যরা বিনা মূল্যে ল্যাব থেকে
এআইসিটি প্রশিক্ষণ নিতে পারছেন। প্রত্যেক এআইসিটি ল্যাবে এআইসিটি উপকরণ- ডেস্কটপ কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্কিল্টমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেট মডেম, প্রিন্টার, জেনারেটর ইত্যাদি বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কবীর বিন আনোয়ার বলেন, কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার সহজ করায় চিনিকলগুলোকে মৌসুমের মাঝখানে আখের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হচ্ছে না, এগুলো আরো দক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃষকদের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এবং তাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেও তিনি জানান। ইতিমধ্যে অন্যান্য কৃষিপণ্যের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পাইকারি বাজারদর জানবার প্রদ্ধতি সরকার চালু করেছে। এর সুবিধা বেশ কিছু কৃষক এবং ব্যবসায়ী নিতেও শুরু করেছেন, তবে ভবিষ্যতে এর আওতা আরো সম্প্রসারিত হবে।
খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন বজায় রাখতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপকূলীয় এলাকায় কৃষি গবেষণায় ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন (মানুষবিহীন উড়ো যান)। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগে ড্রোন ব্যবহার করে কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণার কাজ চলছে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিরক্ষা ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, নেদারল্যান্ডসের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে দেশের কৃষি গবেষণায় আধুনিক, উন্নত এবং কার্যকর প্রযুক্তি মানুষবিহীন এ যান ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে কৃষক জমিতে পরিমিত সার প্রয়োগ এবং রোগ-পোকামাকড়ের আক্রমণ দমন করার বার্তা বা তথ্য সংগ্রহের জন্য এই যানটি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সফলভাবে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা কেন্দ্রের গবেষক ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ শেখ হেমায়েত হোসেন বলেন, ইনফরমেশন অন ফিঙ্গার টাচ নামে তথ্য সার্ভিসের সদর দপ্তরে একটি কিয়স্ক (বুথ) স্থাপন করা হয়েছে। টাচ স্ক্রীনের মাধ্যমে সহজেই এ বুথ থেকে কৃষিবিষয়ক তথ্য নেয়া যাচ্ছে। কৃষকের জানালা নামে একটি সেবা রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের। এটি হচ্ছে মাঠ ফসলের বিভিন্ন সমস্যার ধারণকৃত ছবির তথ্য ভাণ্ডার যা ব্যবহার করে সমস্যা নির্ণয় এবং একই সাথে সমস্যার পরিবেশ বান্ধব সমাধান করবে এটি। যে কোন কম্পিউটার বা স্মার্ট ফোনে এটি ব্যবহার করা যায়।
আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি যত দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছানোর জন্য ইউএনডিপি ও ড্যানিশ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষি তথ্য সার্ভিস, কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র বা এআইসিসি চালু করেছে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সব জাত, চাষাবাদ প্রত্রিক্রয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যাচ্ছে। এছাড়া এই অ্যাপসের মাধ্যমে বারি উদ্ভাবিত ফসলের উন্নত প্রযুক্তি, বিশেষ করে রোগবালাই, পোকা মাকড় ও সার ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে এ অ্যাপসের মাধ্যমে কৃষকরা পাচ্ছেন সব তথ্য। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রয়েছে রাইজ নলেজ ব্যাংক নামে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি তথ্য সেবা। এর মাধ্যমে কৃষকরা ধানের সঠিক জাত, রোপণের কৌশল, সার ব্যবস্থাপনা তথ্য জানতে পারছেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল জলবায়ু তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সংগৃহীত বিভিন্ন উপাত্তের উপর ভিত্তি করে সেবাটি তৈরি করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে ফসল পঞ্জিকা। বাংলাদেশে এখন সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে প্রায় তিন হাজারের বেশি টেলিসেন্টার রয়েছে। এসব তথ্যকেন্দ্র থেকে কৃষি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেক কৃষক তথ্যকেন্দ্রের কর্মীকে মাঠে নিয়ে যান। তার ক্ষেতের রোগাক্রান্ত ফসল বা পাতার ছবি তুলে ই-মেইল করেন। এরপর ছবিটি বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সেবা পাচ্ছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার ফারুক বলেন, কৃষি কল সেন্টার ১২৩ নম্বরে মোবাইল ফোন থেকে ফিদ্ধ এসএমএস এবং সরাসরি কল করে কৃষিবিষয়ক যেকোনো সমস্যার সমাধান কৃষক পেতে পারেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমান সিনেমা ভ্যানের মাধ্যমে ভিডিও প্রদর্শন করে কৃষকদের সচেতন করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রর্দশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে খুব সহজেই কৃষকদের মাঝে প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ ধারণা নিয়ে কৃষি তথ্য সার্ভিস বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ কৌশল, উদ্বুদ্ধকরণ নাটিকা বা গান প্রচার করছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস বাংলা ভাষায় কৃষি তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। দেশে এ পর্যন্ত ১৪টি কমিউনিট রেডিও লাইসেন্স পেয়েছে। একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান কৃষি তথ্য সার্ভিস কর্তৃক পরিচালিত বরগুনার আমতলীতে স্থাপিত হয়েছে কমিউনিটি রেডিও ‘আমার রেডিও আমাদেরও কথা বলে’।
‘কৃষি সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট’ মাটি পরীক্ষার জন্য তৈরি করেছে ‘সারের প্রয়োগমাত্রা নিরুপণের সফটওয়্যার’। মাটিতে কি কি উপাদান আছে তা মাটি পরীক্ষা করে বের করে, এই সফটওয়্যারে বসিয়ে, সেইসাথে জমির পরিমাণটুকু বসিয়ে দিলেই কৃষক বা কৃষিবিদ জেনে যাবেন, তার জমিতে কি পরিমাণ সার লাগবে। তথ্য প্রযুক্তির এই সুফলটিও মাঠ পর্যায়ে অনেক কৃষক এখন গ্রহণ করছে। ফলে সারের পিছনে কৃষকদের ব্যয় কমে এসেছে, কৃষকের উৎপাদন ভালো হয়েছে এবং মাটির গুণাগুণ উন্নীত হয়েছে। দেড় লাখ সয়েল স্যাম্পল বিশ্লেষণের পর ম্যাপিং করে মাটির উর্বরতার ঘাটতি বিশ্লেষণ করে ডিজিটাল ডাটাবেজ থেকে এসকিউএল সার্ভারের মাধ্যমে সার প্রয়োগ সংক্রান্ত রিয়েল টাইম ডাটা সেবা দেয়া হচ্ছে। ক্যাটালিস্টদের সহযোগিতায় ২০০৯ সালে ৩০ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া তথ্যসেবাটি এটুআই-এর হাত ধরে ২০১৪ সাল থেকে পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল বলেন, কৃষকদের কাছাকাছি তথ্য সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য নানামুখী কর্মপরিকল্পনা চলছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ইমেলের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠালে পরদিনই উত্তর পাওয়া যায়। স্মার্ট ফোনের অ্যাপসে গিয়ে প্রশ্ন লিখলে সাথে সাথে উত্তর দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। কৃষকরা এটা নিজে না পারলে কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা নিয়ে করতে পারবেন।
- গুটি ইউরিয়া যন্ত্র
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারী এন্ড পোষ্ট হারেভষ্ট টেকনোলজি (এফএমপিএইচটি) বিভাগ একটি হস্তচালিত গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে যার মাধ্যমে একজন শ্রমিক প্রতি ঘন্টায় একবিঘা জমিতে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে পারে। প্রচলিত পদ্ধতিতে একজন শ্রমিক সারাদিনে দক্ষতাভেদে ২০-৩০ শতাংশ জমিতে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করতে পারে। সুতরাং প্রচলিত পদ্�.. - মাশরুমের চাষ
মাশরুম একটি পুষ্টিকর সবজি। সাধারণত: সবজির মতো মাশরুম মাটিতে জন্মায় না। এটি নিম্নশ্রেণীর ছত্রাক জাতীয় পরজীবী উদ্ভিদ। জীবন ধারনের জন্য এরা জৈবিক বস্তু (Organic mattor) থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি গ্রহণ করে। আশির দশকের শুরুতে এদেশে পরীক্ষামূলকভাবে মাশরুম চাষ শুরু হয়। সে সময় সাভারে অবস্থিত কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আওতাধীন ২টি কালচার সেন্টারে �.. - কেসিএম পাওয়ার টিলারবর্তমানে দেশের অধিকাংশ জমি (শুকনো বা কাদা) পাওয়ার টিলার দিয়ে চাষ করা হয়। প্রচলিত পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি তৈরি করতে ৫-৬টি চাষের প্রয়োজন হয়। KGF(কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন), CASEED এবং MAWTS-এর যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবিত কেসিএম পাওয়ার টিলার দিয়ে সেখানে ২/৩টি চাষ যথেষ্ট।এই যন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শুকনো জমিতে অর্থাৎ যে জমির উপর দিয়ে হেঁটে যেতে পায়ে কাদা লাগে না, এমন জমিতে গভ..
- কম্পোস্টআপনি জানেন কি?
- বর্তমানে জমিতে অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রচুর পরিমানে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়।
- তবে ব্যাপকহারে এ রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমিতে এর বিরূপ প্রভাব ও পড়ে ।
- সাথে সাথে জমিতে জৈব পদার্থ ও উপকারী অনুজীবের পরিমান হ্রাস পেতে থা..
- কেচোঁ কম্পোস্ট (ভার্মি কম্পোস্ট)কেচোঁ মানুষের একটি অন্যতম উপকারী প্রাকৃতিক ক্ষুদ্র প্রাণী। এ প্রাণী যে মাটি চাষাবাদের কাজে উপকারে আসে তা আমরা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তা করিনি। প্রধানত কেচোঁ উপরের মাটি নিচে এবং নিচের মাটি উপরে তুলে থাকে। এসব কাজের সাথেই কেচোঁর সারও তৈরি হয়। কেচোঁর দ্বারা জৈব সার তৈরির জন্য এ সাথে তরকারির খোসা, গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ও নাড়িভুড়ি, পাতাসহ পচা আবর্জন
পরিবর্তিত জলবায়ুতে বারো মাসের কৃষি
বৈশাখ:
১/এ মাসে খরা হতে পারে এবং বোরো ধানের জন্য খুবই নাজুক সময়। নাবি বোরো ধানের থোড় আসার সময় যাতে খরার জন্য পানির অভাব না হয় তার জন্য আগে থেকেই সেচের ব্যবস্থা রাখা।
২/ ধান গাছে এসময়ে ফুল আসে এবং বাদামী গাছ ফড়িং এর ব্যাপক আক্রমন হয়। যার ফলে ধান চিটা হয়ে যায়।- ড্রাম সিডারের বিবরণ : এটি প্লাস্টিকের তৈরি ছয়টি ড্রাম বিশিষ্ট বীজ বপন যন্ত্র। ড্রামগুলো ২.৩ মিটার লম্বা লোহার দণ্ডে পরপর সাজানো থাকে। লোহার দণ্ডের দুই প্রান্তে প্লাস্টিকের তৈরি দু’টি চাকা এবং যন্ত্রটি টানার জন্য একটি হাতল যুক্ত থাকে। প্রতিটি ড্রামের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ৫৫ সেন্টিমিটার এবং এর দুই প্রান্তে ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে
0 comments:
Post a Comment