Friday, July 14, 2017

Tagged Under: , , ,

শুরু হবে পঞ্চম কৃষি শুমারি ৩৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

  • Share The Gag
  • পঞ্চম কৃষি শুমারি, ৩৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব

    অর্থনীতিতে কৃষির অবদান খুঁজতে আগামী বছর কৃষি শুমারি করবে সরকার। প্রতি দশ বছর পরপর এই শুমারি করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো- কৃষি খাতে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপ-খাতসমূহের খানা পর্যায়ে ও কৃষি খামারে সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করা। এছাড়া পরিবার পর্যায়ে কৃষি খামারের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করে সংকলন ও প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ শুমারি করে।

    বিবিএস সূত্র জানায়, কৃষি শুমারির লক্ষ্যে পরিকল্পনা কমিশনে ৩৩৮ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার টাকা ব্যয় ধরে একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ শুমারির কার্যক্রম চলবে। শুমারি প্রকল্প বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছর ৩১০ কোটি ৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছর ১৩ কোটি ৬১ লাখ ৮০ হাজার, ২০১৯-২০ অর্থবছর ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৭৬ হাজার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে।

    সর্বশেষ কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালে।

    সূত্র জানায়, বাংলাদেশে কৃষি একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। সরকারের নীতিনির্ধারণ ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে কৃষি জমির পরিমাণ, জমির ব্যবহার, কৃষক, শস্য উৎপাদন, মৎস্য উৎপাদন এবং প্রাণিসম্পদ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা প্রধানত কৃষি শুমারির মাধ্যমেই পাওয়া যায়।

    স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত চারটি কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এগুলো ১৯৭৭ সালে প্রথম, ১৯৮৩-৮৪ সালে দ্বিতীয়, ১৯৯৬ সালে তৃতীয় এবং ২০০৮ সালে চতুর্থ কৃষি শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিসংখ্যান আইন ২০১৩-তে আদম শুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারির পাশাপাশি কৃষি শুমারি অনুষ্ঠানের বিষয় উল্লেখ রয়েছে।

    সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) প্রণীত ধারণা পদ্ধতি অনুসরণ করে সদস্য দেশসমূহে পাঁচ বা ১০ বছর অন্তর কৃষি শুমারি পরিচালনা করা হয়। এজন্য ১০ বছরের মাথায় পঞ্চম কৃষি শুমারি পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ শুমারি পরিচালনা করতে দুই হাজার ছয়শ’ মাস্টার ট্রেইনার ও জোনাল কর্মকর্তা, ২৪ হাজার সাতশ’ সুপারভাইজার ও দেড় লাখ গণনাকারী কাজ করবেন।

    গৃহীত কৃষি (শস্য, মৎস্য ও প্রাণসিম্পদ) শুমারি-২০১৮ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষি খাতের উপ-খাতসমূহের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও অগ্রগতি মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, আন্তঃশুমারির সময়ে কৃষি খাতের বার্ষিক উৎপাদন প্রাক্কলন সম্পর্তিক জরিপ পরিচালনার ক্ষেত্রে নমুনা প্রণয়নে সহায়তা ও নির্ণয়, কৃষি উপ-খাতসমূহের সঙ্গে জড়িত ক্ষুদ্র, মাঝারি, প্রান্তিক চার্ষীদের ও পল্লী উন্নয়নে সরকারি কর্মসূচি গ্রহণে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ, প্রশাসনিক বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও মৌজা পর্যায়ে কৃষি উপ-খাতসমূহের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

     

    0 comments:

    Post a Comment