Sunday, July 23, 2017

Tagged Under: , , ,

কচু চাষে ভাগ্য বদল কৃষকের

  • Share The Gag

  • ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক জিয়াউল ইসলাম ও ফারুক হাওলাদার এ বছর কচু চাষ করে লাভবান হয়েছেন। তারা দুজনই সৌদি আরব প্রবাসী ছিল। একই স্থানে থেকে জিয়াউল ফারুক সৌদি আরবে ক্ষেতে খামারে কৃষি কাজ করত। দেশে ফেরার পর নিজ জমিতে ধান-পাটের পাশিপাশি পটোল, শসা, কচু চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন।


    এ বছর বেশি জমিতে কচু চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন। কচু বিক্রি করে ভালো দামও পাচ্ছেন। কৃষক জিয়াউল জানান, এবারও ১ বিঘা জমিতে ৫ হাজার কচুর চারা রোপণ করি। প্রতিটি কচু পূর্ণাঙ্গ হওয়া পর্যন্ত তার প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। কচু পোকায় ধরে না এবং শুকনো মৌসুমেও পানিতে ক্ষতি হয় না বলে তিনি জানান। প্রতিটি কচু পূর্ণাঙ্গ হতে ৭ থেকে ৮ মাস সময় লাগে। এর পর শুরু হয় কচু বিক্রির পালা। সদরপুর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, শিবচর ও জয়পাড়া, নারিশাসহ বিভিন্ন হাট বাজারে পাইকারদের মাধ্যমে কচু সরবরাহ করে থাকেন। শুরুতে প্রতিটি কচু বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকারও বেশি। বর্তমানে বিভিন্ন জাতের কচু হাটবাজারে সরবরাহ থাকায় দাম অনেকটা কম পাওয়া যাচ্ছে।


    কৃষক জিয়াউল জানান, ১ বিঘা জমিতে কয়েক হাজার কচুর চারা রোপণ করে প্রতিটি কচু গড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হওয়ায় ৩ লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। অপর কৃষক ফারুক জানান, অর্ধবিঘা জমিতে ২ হাজার ৫০০ কচুর চারা রোপণ করে এখন পর্যন্ত দেড় লক্ষাধিক টাকা লাভ করেছেন। এ বছর কচু চাষ করে ভালো লাভ হওয়ার কারণে আগামী বছর আরও বেশি জমিতে কচুর চাষাবাদ করবেন বলে জানান জিয়াউল ও ফারুক হাওলাদার। স্থানীয় অনেক কৃষকই বলেছেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় দাম বেশি ও ঝুঁকি কম থাকার কারণে এ অঞ্চলে দিনকে দিন কচুর আবাদ বাড়ছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে এ অঞ্চলে কৃষকরা আরও বেশি জমিতে কচুর আবাদ করতে পারবেন।



    0 comments:

    Post a Comment