Friday, July 21, 2017

Tagged Under: , , , , ,

দেশি মুরগি বনাম ফার্মের মুরগি

  • Share The Gag
  • দেশি মুরগি বনাম ফার্মের মুরগি







    ১. আকারে ছোট। যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায়।


    তবে সন্ধ্যা হলেই দলবল নিয়ে নিজ আস্তানায় ফিরে আসে।


    ২. প্রায় সর্বভূক। এদের চাল দিলে চাল খাবে, গম দিলে গম। ভাতেও ‘না’ নেই, নুডলসেও নেই।


    ৩. অল্পস্বল্প উড়তে পারে। ফলে পাখির সঙ্গে ইগো ক্ল্যাশ করে। নিজেকে কখনো কখনো পাখি মনে করলেও বেশি ওড়ার সাধ্য না থাকায় নিজ ঘরকেই আপন মনে করে।


    ৪. ডিমের আকার ছোট। তবে একটা ডিম পাড়লেই সেটা নিয়ে ভয়ানক হইচই করতে পারে। তারা ডিম পাড়া মাত্র তা রাষ্ট্র হয়ে যায়।


    ৫. দুর্বল লেগপিস। কিন্তু খেতে সুস্বাদু।


    ৬. ওজনে কম হওয়ার পরও মার্কেট ভ্যালু আছে ঐতিহ্য ও গুণগত মাংসের কারণে।


     


    ১. ফার্মের মুরগি আকারে বড়। খুব বেশি ঘোরাঘুরি করতে পারে না। আলসে-টাইপ। দলবলসহ থাকলেও একে অন্যকে চেনে না প্রায়। কারও সঙ্গেই তেমন কোনো যোগাযোগ নেই। আপনারে নিয়া ব্যস্ত থাকিতে এসেছেন তারা অবনী ’পরে।


    ২. দেশি-বিদেশি পোলট্রি ফুড ছাড়া ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার হয় না। চাল-গম এরা খেতে পছন্দ করে না। খেলে দামিটা খাবে, না হলে খাবে না।


    ৩. ওড়াউড়ির মধ্যে নেই। এরা ডাইরেক্ট স্থান ত্যাগ করে। পোলট্রি ফার্ম থেকে সরাসরি মার্কেটে। যে দলে জন্ম, সেই দল ত্যাগ করে বাজারের দলে যেতে এদের বিন্দু পরিমাণ কষ্ট হয় না।


    ৪. ডিমের আকার বড়। বাজারে এদের ডিম জনপ্রিয়। তবে ডিম পাড়লেও এরা তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে না। এদের ধারণা, যেকোনো দানই লজ্জার ঘটনা। ফলে ডিম পাড়লে এরা ঝিম মেরে বসে থাকে।


    ৫. সবল লেগপিস। সবাই এদের লেগের ভক্ত। এরা নিজেরাও তা জানে। তাই সব সময় নিজেদের লেগ অন্যদের জন্য বাড়িয়ে রাখে।


    ৬. ওজনে বেশি হওয়ায় বাজারে কাটতি ভালো। এদের কোনো ঐতিহ্য নেই, তবে এরাই ভবিষ্যৎ।


    পুনশ্চ: এ ছাড়া বাজারে কক নামক পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মুরগির চাহিদা আছে। এরা দেশি ও ফার্মের মুরগির মাঝামাঝিতে একটা অবস্থান বজায় রেখে নিজেদের বাজারমূল্য বাড়িয়ে চলেছে।




    ডিম বৃত্তান্ত (১): দেশি বনাম ফার্মের ডিম




    eggs

     

     

     

     

    ফার্মের ডিম খাবার অভ্যস আমাদের বেশিকাল আগের নয়। আমাদের বয়স্কদের অনেকে এখনও বেশি দাম দিয়ে দেশি মুরগীর ডিম খেতে পছন্দ করে। মনে রাখতে হবে অজ্ঞতা হেতু বেশি অর্থ খরচ করা মানে বেশি পুষ্টি নয়। অনেকে বলে থাকেন দেশি মুরগির ডিমে বেশি পুষ্টি  থাকে। কিন্তু কথাটি মোটেই সত্য নয়। একটি দেশি মুরগীর ডিমের সাথে ফার্মের ডিমের ওজন, দাম ও পুষ্টিমান তুলনা করুন। একটি দেশি ও ফার্মের মুরগীর ডিমের ওজন যথাক্রমে ৩৫-৪০ ও ৫৫-৬০ গ্রাম। দেশি ডিমের ওজন কম হওয়ায় পুষ্টিমানও অনেক কম হবে। সুতরাং এবার সিদ্ধান্ত নিন বেশি টাকা খরচ করে দেশি মুরগীর ডিম না কম টাকায় ফার্মের ডিম ক্রয় করবেন। মনে রাখবেন ডিমের পুষ্টিমান বিচারে দামের সঙ্গে এর একক ওজন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

    তবে একটি বিষয় এখানে উল্লেখ্য যে, পোলট্রির খাদ্য তালিকায় কেরোটিন বা ভিটামিন- এ’ এর অভাব হলে ফার্মের ডিমের কুসুম বেশি হলুদ হয় না। কিন্তু দেশি মুরগীর ডিমের কুসুম বেশি হলুদ হয়। আমাদের মনে রাখতে হবে শুধু ভিটামিন-এ দ্বারা একটি ডিমের মোট পুষ্টিমান হিসাব করা হয় না। আমরা মূলত আমিষের জন্যই ডিম খেয়ে থাকি, কিন্তু সাথে চর্বি , ভিটামিন ও খনিজদ্রব্য পেয়ে থাকি। তাছাড়া ফলমূল, তরি-তরকারী ও শাকসবজি থেকে আমরা প্রতিদিন ভিটামিন-এ পেয়ে থাকি।



    1 comments:

    1. What to do if I win at a casino? - DRMCD
      So, 구미 출장안마 it is a great idea 안산 출장안마 to 공주 출장마사지 place the bet 강원도 출장샵 (with a total of $1) at 경주 출장안마 a given time as it gives you the chance to win something big. If you can't win,

      ReplyDelete