Monday, July 17, 2017

Tagged Under: , , ,

আকাশপথে গরু এসে পৌঁছুল কাতারে

  • Share The Gag
  • আকাশপথে গরু এসে পৌঁছুল কাতারে

    জ্বালানিসমৃদ্ধ দেশ কাতার মূলত এর ২৭ লাখ জনগণের খাদ্যচাহিদা মেটাতে আমদানির উপরেই নির্ভরশীল। গত মাসে সৌদি জোটের আরোপ করা অবরোধের ফলে প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে খাদ্য আমদানী বন্ধ আছে কাতারে। তাই দেশে গরুর দুধের সরবরাহ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আকাশপথে গরু আমদানি করেছে দেশটি। এই গরু দিয়ে স্থাপন করা হবে দুগ্ধজাত পণ্যের খামার।

    সন্ত্রাসবাদে মদদ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্টের অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদ করেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বে আটটি মুসলিম দেশ। কাতার ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার বিরোধের কারণে বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে এবং দীর্ঘদিনের ভূ-রাজনৈতিক জোটে পরিবর্তনের হুমকি দেখা দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে আমদানিনির্ভর কাতারে খাদ্য সংকটের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দুধের সরবরাহের পতন ঠেকাতে নিজস্ব দুগ্ধ খামার গড়ে তুলতে দেশটির এক ব্যবসায়ী আকাশপথে চার হাজার গরু আমদানির ঘোষণা দিয়েছিলেন গত মাসে। খবর ব্লুমবার্গ।

    পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান মুতাজ আল খায়াত অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসব গরু কিনেছেন। কাতার এয়ারওয়েজের ৬০টি ফ্লাইটে করে ৫৯০ কিলোগ্রাম ওজনের এক একটি গরু কাতারে আনা হয়েছে। বিমানে করে গবাদি পশু বহনের সর্ববৃহৎ ঘটনা এটি। তিনি জানান, এতে দেশের দুগ্ধজাত পণ্যের মোট চাহিদার ৩০ শতাংশ মেটানো সম্ভব হবে। এই পণ্যগুলো মুতাজ আল খায়াতের প্রবর্তিত নতুন ব্র্যান্ডের অধীনে সরবরাহ করা হবে।

    কাতার সংকট শুরুর আগে দোহার প্রায় ১০ লাখের বেশি মানুষের জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য আসত সৌদি আরব থেকে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও এর দুই সহযোগী দেশ কাতারের সঙ্গে পরিবহন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর দুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

    কাতারের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের কারণে খাদ্য, নির্মাণসামগ্রী ও প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পের উপকরণ আমদানির জন্য নতুন বাণিজ্য রুট খুঁজতে বাধ্য হয়েছে কাতার।

    মুতাজ আল খায়াতের ব্যবসা মূলত নির্মাণ খাতকে ঘিরে। এছাড়া তার কোম্পানির কৃষি ব্যবসাও রয়েছে। দোহার উত্তরাঞ্চলে ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ তার একটি ফার্ম রয়েছে। সেখানে ভেড়ার দুধ ও মাংস উত্পন্ন হয়। ফার্মটিতে আগে থেকেই সমুদ্রপথে গরু আমদানির পরিকল্পনা ছিল। কাতারকে একঘরে করার ফলে প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করা হয়েছে।

    এদিকে কাতার তুরস্ক থেকে দধি এবং মরক্কো ও ইরান থেকে শুষ্ক পন্য আমদানির নতুন নিরাপদ বাণিজ্য রুট খুঁজছে।

     

    সূত্র- বনিকবার্তা

    0 comments:

    Post a Comment