Saturday, February 13, 2016

Tagged Under: , ,

মুরগির খাদ্যের পুষ্টি উপাদানসমূহ ও কার্যাবলী

  • Share The Gag



  • রেশন: বয়স ও উপযোগিতা অনুসারে নির্দিষ্ট পরিমাণ বরাদ্দকৃত খাদ্যকে রেশন বলে।

    সুষম খাদ্য: মুরগির জাত, বয়স, ওজন ও উপযোগিতানুসারে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমাণ ও অনুপাত সমন্বয়ে তৈরি খাদ্যকে সুষম খাদ্য বলে।

    সম্পূর্ণ খাদ্য: সুষম খাদ্যের সাথে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, এনজাইম, এমাইনো-এসিড ও রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রণ করে খাদ্যের গুণগতমান, উপযোগীতা ও সংরক্ষণ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। এই খাদ্যকে সম্পূর্ণ খাদ্য বলে।

    খাদ্য উপকরণ মজুদ: শুষ্ক ও আর্দ্রতামুক্ত অবস্থায় খাদ্য উপকরণ মজুদ করতে হবে ।

    পুষ্টি অনুসারে খাদ্য উপকরণের নাম: নির্দিষ্ট পুষ্টি উপাদান যে খাদ্য উপকরণের মধ্যে বেশি পরিমাণ থাকে তাকে সেই জাতীয় খাদ্য বলে। যেমন: সয়াবিন মিল ও আমিষ জাতীয় খাদ্য।


    • আমিষ জাতীয় খাদ্য উপকরণ: প্রাণীজ আমিষ-ফিস মিল, মিট ও বোন মিল, ব্লাড মিল, ফিদার মিল ইত্যাদি। উদ্ভিদ আমিষ-সয়াবিন মিল, তিল খৈল, ও অন্যান্য তৈলবীজের খৈল।

    • শর্করা জাতীয় খাদ্য: গম, ভূট্টা, সাইলো ইত্যাদি।

    • খনিজ জাতীয় খাদ্য: লবন, ঝিনুক, ডাইক্যালসিয়াম ফসফেট, রকসল্ট ইত্যাদি।

    • চর্বি জাতীয় খাদ্য: পোল্ট্রি ওয়েল, সয়াবিন তৈল, ইত্যাদি।

    • ভিটামিন জাতীয় খাদ্য ।


























    আমিষের কার্যাবলী

    শর্করার কার্যাবলী

    খনিজ পদার্থের কার্যাবলী

    - দেহের ক্ষয়পূরণ

    - দেহের বৃদ্ধি

    - পালক গঠন

    - ডিম উৎপাদন

    - জীবন ধারণ

    - দেহে শক্তি সরবরাহ

    - দেহে তাপ উৎপাদন

    - কর্মশক্তি যোগান

    - উৎপাদন ঠিক রাখা

    - দেহে চর্বি উৎপাদন

    - ক্ষয়পূরণ

    - হাড় গঠন

    - ডিমের খোসা তৈরি

    - রক্ত কণিকা গঠন

    - পালক গঠন

    চর্বির কার্যাবলী

    ভিটামিনের কার্যাবলী

    পানির কার্যাবলী

    - দেহে শক্তি সরবরাহ ও তাপ উৎপাদন

    - দেহের লাবণ্যতা বৃদ্ধি

    - খাদ্যের স্বাদ বৃদ্ধি

    - দেহের অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ

    - ভিটামিন দ্রবীভূত করণ

    - রোগ প্রতিরোধ

    - খাদ্য পরিপাকে সহায়তা

    - উৎপাদন বৃদ্ধি

    - দেহের নির্বাহী কার্য্যাবলী পরিচালনা

    - রক্তের তরলতা রক্ষা করা

    - খাদ্যপুষ্টি দেহের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেওয়া

    - হজমে সাহায্য করা

    - শরীরের তাপমাত্রা সংরক্ষণ করা

    - দেহের বর্জ্য পদার্থ অপসারণ করা

    খাদ্যের ধরণ:

    পুষ্টি উপাদানের উপর ভিত্তি করেঃ ব্রয়লারের ক্ষেত্রে সাধারণত: তিন ধরনের রেশন ব্যবহার করা হয়। যেমন:

    ১. স্টার্টার রেশন: ১ দিন থেকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ

    ২. গ্রোয়ার রেশন: ৩ সপ্তাহ থেকে চার সপ্তাহ

    ৩. ফিনিশার রেশন: ৪ সপ্তাহ থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত

    আকৃতির উপর ভিত্তি করে-

    গুড়া খাদ্যঃ খাদ্যের সমস্ত উপকরণ চূর্ণের মিশ্রণকে গুড়া খাদ্য বা ম্যাস খাদ্য বলে। ম্যাস খাদ্য হাতের সাহায্যে বা যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা যায়। হাতে প্রস্তত গুড়া খাদ্য সমভাবে মিশ্রণ হয় না তবে যন্ত্রের সাহায্যে প্রস্তত গুড়া খাদ্যের প্রতি দানা সমভাবে মিশ্রিত হয়।

    টুকরা বা দানাজাতীয় খাদ্যঃ এটি গুটি বা বড়ি আকৃতির খাদ্যের চেয়ে আকারে ছোট হয়। সাধারণত: ব্রয়লার এবং লেয়ার বাচ্চার জন্য স্টার্টার রেশন হিসেবে ব্যবহার করা।

    গুটি বা পিলেট খাদ্যঃ গুড়া খাদ্যকে চাপ প্রয়োগ করে ছাচের ভিতর ঢুকিয়ে গুটি বা বড়ি আকৃতির খাদ্য তৈরি করা হয়। ২ থেকে ৩ সপ্তাহ বয়সের সময় ব্রয়লার বাচ্চাদেরকে গুড়া বা দানা খাদ্যের পরিবর্তে পিলেট বা বড়ি আকৃতির খাদ্য দিতে হবে। ৪ সপ্তাহের সময় বাড়ন্ত বাচ্চাদেরকে সম্ভব হলে একটু বড় আকারের পিলেট বা গুটি খাদ্য দেয়া যেতে পারে।

    মুরগির দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে আবহাওয়া ও তাপমাত্রার প্রভাব: আবহাওয়ার তাপমাত্রা মুরগির খাদ্য খাওয়ার পরিমাণের উপর প্রভাব বিস্তার করে। ৭০ ফা. (২১.১ সে.) তাপমাত্রায় বিভিন্ন বয়সের মুরগি স্বাভাবিক মাত্রায় খাদ্য খায়।

    ক) তাপমাত্রা বৃদ্ধি হলে


    • খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ কমে

    • রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমে

    • বিপাকীয় কার্যক্রম কমে

    • পানি পিপাসা বাড়ে

    • ডিমের খোসা পাতলা হ


    খ) তাপমাত্রা কমে গেলে


    • তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে মুরগির দেহের তাপ অপসারণ প্রক্রিয়া বেড়ে যায় ফলে দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য বিপাকীয় কার্যক্রম বেড়ে যায়।


    আবহাওয়ার তাপমাত্রা পরিবর্তনের কারণে খাদ্য গ্রহনে সমস্যা ও সমাধানের উপায়

    তাপমাত্রা কমে গেলে মুরগি খাদ্য বেশি খায় এবং তাপমাত্রা বাড়লে খাদ্য কম খায়। ফলে খাদ্যের পুষ্টি উপাদান গ্রহণের পরিমাণও কম-বেশি হয়।

    সমাধানের উপায়

    ১. মুরগির ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা;

    ২. খাদ্যে পুষ্টি উপাদানগুলোর পরিমাণ পুনর্বিন্যাস করা;

    ৩. খাদ্য গ্রহণের পরিমাণের সাথে পুষ্টি উপাদানের সমতা রক্ষা করা।

    খাদ্য খাওয়ানোর পদ্ধতি (লেয়ার মুরগি বা ব্রয়য়ার মুরগি)

    প্রথম ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত খাদ্য প্রদান:


    • প্রথম দিন ব্রুডারে বাচ্চা প্রদানের ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর স্টার্টার রেশন দেওয়া হয়;

    • পর পর ৪ দিন ব্রুডারে বিছানো কাগজের উপর এবং ৩ দিন পর হতে কাগজের পাশাপাশি ট্রাফ পাত্রে স্টার্টার রেশন দেওয়া হয়;

    • ৪ দিন পর বিছানো কাগজের উপর খাদ্য দেওয়া বন্ধ করা হয়;

    • ৬ সপ্তাহ বয়সে নমুনা ওজন গ্রহণ করা হয়;

    • ৬ সপ্তাহের মধ্যে নির্ধারিত ওজন পাওয়া না গেলে ৮ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত স্টার্টার রেশন দেওয়া হয়;

    • হ্যাচরী থেকে বাচ্চা সংগ্রহের সময় বাচ্চার খাদ্য গ্রহণ ও ওজন বৃদ্ধির দৈনন্দিন তালিকা সংগ্রহ করতে হয়;

    • বিভিন্ন স্ট্রেইনের মুরগির বাচ্চার খাদ্য খাওয়ার ও ওজন বৃদ্ধির পরিমাণ ভিন্ন ভিন্ন হয়।


    বাড়ন্ত বাচ্চা বা পুলেটের খাদ্য প্রদান:


    • পুলেটের খাদ্য তার বয়স অনুসারে প্রদানের পরিবর্তে ওজন অনুসারে প্রদান করতে হয়;

    • সপ্তাহের কোন নির্দিষ্ট দিনে বাড়ন্ত বাচ্চা বা পুলেটের নমুনা ওজন গ্রহণ করে খাদ্য প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হয়।


    নির্ধারিত ওজন কম হলে

    ১. শতকরা ১ ভাগ ওজন কমের জন্য দৈনিক শতকরা ১ ভাগ খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হয়;

    ২. খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য গরমকালে খাদ্যে ক্যালোরী পরিমাণ ঠিক রাখতে খাদ্যে চর্বি জাতীয় উপকরণ ব্যবহার করা যায়।

    নির্ধারিত ওজন বেশি হলে

    ১.লেয়ার মুরগির ক্ষেত্রে ফ্লকে শতকরা ১০ ভাগ বেশি ওজন খুবই ব্যতিক্রম ধর্মী ঘটনা  তবে অতিরিক্ত ওজন হলে যে পরিমাণ খাদ্য খাচ্ছিল সে পরিমাণই চালিয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না সঠিক ওজন আসে;

    ২. ডিম পাড়তে শুরু করার আগে নির্ধারিত ওজনের বেশি হলে কোনক্রমে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো যাবে না। এই অবস্থায় মুরগির মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়।

    সাধারণত: গ্রীষ্ম কাল থেকে শীত কালে পুলেটের ওজন শতকরা ২০ ভাগ বৃদ্ধি পায়।

    ডিম পাড়ার সময় লেয়ার মুরগির খাদ্য প্রদান:


    • লেয়ার মুরগিকে দিনের মধ্যে ঠান্ডা সময়ে খাদ্য দিতে হবে।

    • দিনের খাদ্যকে দুই বা তিন ভাগে ভাগ করে সকালে ও বিকালে অথবা সকালে, দুপুরে ও বিকালে দেওয়া য়ায়। তবে প্রচন্ড গরমের সময় দুপুরে ও বিকালে খাদ্য প্রদান কর্মসূচী বাতিল করা ভাল;

    • ডিম পাড়তে শুরু করলে মুরগিকে প্রয়োজনমত খাদ্য খেতে দিতে হয়। এই সময়ে কোন প্রকার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না;

    • ডিম পাড়ার বয়সের পূর্বে বা ডিম পাড়তে শুরু করলে মুরগির ওজন নির্ধারিত পারিমাণের বেশি থাকলে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে ওজন কমানো যাবে না;

    • ডিম পাড়তে শুরু করার ১০ দিন আগে খাদ্যের সাথে শতকরা ২ ভাগ হারে ঝিনুক চূর্ণ ও ডাই-ক্যালসিয়াম ফসফেট অর্ধেক মিহিদানা এবং বাকী অর্ধেক একটু দানা আকারে দিতে হয়।


    বিভিন্ন বয়সের মুরগির খাদ্য পাত্রের স্থান:


    • ব্রয়লার ঘরে প্রথম ৪ দিন খবরের কাগজের উপর খাদ্য ছিটিয়ে দিতে হবে;

    • প্রতিদিন পেপার পরিবর্তন করে দিতে হবে;

    • পর পর ৪ দিন ব্রুডারে বিছানো কাগজের উপর এবং ৩ দিন পর হতে কাগজের পাশাপাশি ট্রাফ পাত্রে স্টার্টার রেশন দেওয়া হয়;

    • ৭ থেকে ৮ দিন পর ছোট ফিডার ব্যবহার করতে হবে।


    খাবার পাত্রে অবস্থান:


    • রুডারের ভিতর অথবা মুরগির ঘরে খাবার পাত্র সমান দূরত্বে রাখতে হবে;

    • কখনও হোভারের নীচে খাবার পাত্র রাখতে হয় না;

    • খাবার পাত্র এবং পানির পাত্র এমনভাবে স্থাপন করতে হয় যেন বাচ্চাদের খাদ্যের খোঁজে ৫ ফুট এবং পুলেট ও লেয়ার মুরগির ১০ ফুটের বেশি দূরত্বে যেতে না হয়;

    • খাবার পাত্রের তল মুরগির পিঠের সমতলে থাকতে হবে, তাহলে তারা ঠোঁট দিয়ে খাদ্য ছড়িয়ে নষ্ট করতে পারে না।


    ব্রয়লার মুরগির খাদ্য প্রদান:


    • প্রথম ২ সপ্তাহ ওজন বৃদ্ধির হার কম থাকে এবং পরে ওজন বৃদ্ধি পায়।

    • ৫ সপ্তাহ বয়সে ব্রলায় মুরগির গড় ওজন ১.৫ কেজি।

    • মোরগের ওজন ৪ থেকে ৫ দিন আগেই ১.৫ কেজি হয়।


    মুরগিরকে খাদ্য প্রদানের জন্য যে যে বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে
    ক) মুরগির ওজন;
    খ) সাপ্তাহিক ওজন বৃদ্ধির পরিমাণ;
    গ) সপ্তাহে খাদ্য খাওয়ার পরিমাণ;
    ঘ) খাদ্য খাওয়ানোর দৈনন্দিন তালিকা।

    খাদ্য প্রদানের প্রস্ততি

    হাত দিয়ে খাবার পরিবেশন

    ১. ট্রে-তে করে খাবার পরিবেশন হাত দিয়ে খাবার পরিবেশনের ক্ষেত্রে পরিবেশন কারীকে আগেই হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে তারপর ছোট বাটি বা থালায় করে নির্দিষ্ট খাবার পাত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার দিতে  হবে। বাচ্চা মুরগির ক্ষেত্রে জন্মের পর পর প্রথম কয়েক দিন খবরের কাগজের উপর প্রতিবারে সামান্য পরিমান ছিটিয়ে দিতে হয়। তারপর ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে ট্রে ফিডার ব্যবহার করে তার মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার দিতে হয়।

    ২. যান্ত্রিক ভাবে খাবার পরিবেশন শিল্পপতিদের অনেক বড় খামারে একটি নির্দিষ্ট উৎস থেকে স্বয়ংক্রিয় যান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট বিরতিতে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। তবে এটি বাণিজ্যিক মুরগির চাইতে প্যারেন্ট স্টকের জন্য বেশি অনুসরণ করা হয়।

    পানি

    বাচ্চার জন্য পানি প্রদানঃ

    রুডারে বাচ্চা প্রদানের পর প্রথমে তারা পানি পান করে সেজন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ বা জীবাণুমুক্ত পানি দিতে হবে। তা না হলে তারা পানিবাহিত রোগে সহজেই আক্রান্ত হবে। বাচ্চার পরিবহন জনিত ধকল প্রতিকারের জন্য পানির সাথে গ্লুকোজ, ভিটামিন ও ইলেক্ট্রোলাইট ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।

    পানি বিশুদ্ধ করার পদ্ধতিঃ


    • পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো পানির সাথে ক্লোরিন ব্যবহার করা;

    • প্রতি লিটার পানিতে ০.৩ থেকে ০.৫ গ্রাম বি­চিং পাউডার ব্যবহার করলে পানি জীবাণুমুক্ত হয়। পাউডারের গুণগুণের উপর এই মাত্রার তারতম্য হতে পারে;

    • পানিতে ভ্যাকসিন এন্টিবায়োটিক বা অন্যান্য জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে ক্লোরিন ব্যবহার করা যায় না।


    সুগার বা গ্লুকোজ ব্যবহারঃ বাচ্চাকে প্রথম যে পানি পান করতে দেয়া হয় তাতে শতকরা ৫ ভাগ অথবা প্রতি লিটার পানিতে ৫০ গ্রাম গ্লুকোজ ব্যবহার করে রুডারে বাচ্চা দেয়ার পর ন্যূনতম  ৫ ঘন্টা পর্যন্ত পান করতে দিতে হয়।

    ভিটামিন ব্যবহারঃ বাচ্চার দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য, বাচ্চাকে প্রথম যে পানি পান করতে দেয়া হয় তার সাথে প্রতি লিটারে ১ গ্রাম হিসেবে ভিটামিন ব্যবহার করা যায়। বিশেষ করে ভিটামিন ‘সি’ ব্যবহার করে ভাল ফল পাওয়া যায়। ভিটামিন মিশ্রিত পানি পর পর ৩ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে হয়।

    বাচ্চার ডি-হাইড্রেশন হলেঃ বাচ্চার শরীরে ডি-হাইড্রেশন হলে বিশেষ করে জন্মের ২৪ ঘন্টা পর পানি প্রদান করতে হলে পানির সাথে শতকরা ০.২ থেকে ০.৫ ভাগ হারে লবণ অথবা সাধারণ পানির পরিবর্তে পর্যায়ক্রমে ৩ থেকে ৪ দিন ওরাল স্যালাইন দেয়া হয়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বাজারে প্রাপ্ত সুনাম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে ইলেকট্রোলাইট কিনে প্রস্ততকারীর  নির্দেশ মত খাওয়ালে ভালো হয়।

    মাইকোপ্লাজমা প্রতিরোধের জন্যঃ পানির সাথে Tylan 45/Taimul/Tylosin ইত্যাদি ঔষধ প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠানের নির্দেশক্রমে ব্যবহার করতে হয়।

    ব্যাকটেরিয়া প্রতিকারঃ প্রক্রিয়াজাত করার পূর্বে ব্রয়লার ধরার সময় পানিতে শতকরা ৭ ভাগ চিনি অথবা ১ ভাগ গুড়া দুধ অথবা ঘোল মিশ্রিত করে পান করতে দিলে পরিপাকতন্ত্রে ল্যাকটিক এসিড তৈরি হয় এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

    ব্রয়লার বাচ্চার জন্য সম্ভাব্য পানির পরিমাণ


    • ব্রয়লার ঘরে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ থাকতে হবে;

    • প্রথম তিন সপ্তাহে পানির সহিত ১ গ্রাম বি­চিং পাউডার মিশিয়ে ৬ ঘন্টা পর ব্যবহার করতে হবে;

    • বিভিন্ন বয়সে ব্রয়লার বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ হলো:


































    বয়স (সপ্তাহ)

    ১০০ পাখির জন্য (লিটার)

    প্রথম

    ২ লিটার

    দ্বিতীয়

    ৩.৮ লিটার

    তৃতীয়

    ৫.৫ লিটার

    চতুর্থ

    ৭.৫ লিটার

    পঞ্চম

    ৯.৫ লিটার

    ৬ষ্ঠ

    ১১.৫ লিটার

    আবহাওয়ার তাপমাত্রা ভেদে পানির প্রয়োজনীয়তা কমবেশি হতে পারে।

    পুলেট ও লেয়ার মুরগির পানি প্রদান


    • পুলেট ও লেয়ার মুরগির জন্য ক্লোরিন মিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে হবে।

    • সাধারণত: মুরগি যে পরিমাণ খাদ্য খায় তার দ্বিগুণ পরিমাণ পানি পান করে। গরমের সময় মুরগির খাদ্যের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ পানি পান করে।

    • সাধারণত: মুরগির খাদ্য প্রদানের আধ ঘন্টা আগে পানি দিতে হবে। বাণিজ্যিক পুলেট ও লেয়ারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি সরবরাহের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।

    • আবহাওয়ার তাপমাত্রা ৩০সে. বা তার বেশি হলে পানি দেওয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না এবং পাত্রে সবসময় ঠান্ডা ও বিশুদ্ধ পানি থাকতে হবে। তাই ঘন ঘন পানি পরিবর্তন করতে হবে।


    স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি প্রদান


    • মুরগিকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পানি প্রদান করতে হলে স্বয়ংক্রিয় ড্রিংকার ব্যবহার করতে হয়। যেমন- স্বয়ংক্রিয় ট্রাফ ড্রিংকার, কাপ ড্রিংকার, নিপল ড্রিংকার, বেল টাইপ ড্রিংকার ইত্যাদি।

    • স্বয়ংক্রিয় পাত্রে নির্দিষ্ট সময়ের বিরতির পর পর পানি সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বয়ংক্রিয় ঘড়ি যুক্ত থাকে।

    • স্বয়ংক্রিয় ভাবে পানি সরবরাহ পরিমাপের জন্য পানির পাইপের সাথে পানি পরিমাপ যন্ত্র (ওয়াটার মিটার) ব্যবহার করা হয়।


    পানির পাত্রের অবস্থান

    পুলেট ও লেয়ার মুরগির পানি প্রদান


    • পানির পাত্রের উচ্চতা মুরগির পিঠ বরাবর হতে হবে এবং একটি নির্দিষ্ট ব্যবধানে সম্পূর্ণ শেডে পানির পাত্রগুলি থাকবে; কখনও হোভারের নীচে পানির পাত্র স্থাপন করা যাবে না;

    • ব্রুডারে রুডার গার্ডের ১ ফুট ভিতরে পানির পাত্র স্থাপন করতে হবে;

    • ১ম সপ্তাহে বাচ্চার জন্য ঝরণা বা ট্রাফ পাত্র লিটারের উপর স্থাপন করতে হবে;

    • ২য় সপ্তাহ পর লিটারের ২ ইঞ্চি উঁচুতে এবং ৪র্থ সপ্তাহ পর ট্রাফ বা বেল টাইপ পাত্রের নিচের তল বাচ্চার পিঠের সমতলে রাখতে হবে;

    • ৮ সপ্তাহ বয়স থেকে পরবর্তী সময়ে ট্রাফ বা বেল টাইপ পাত্রের তল মুরগির পিঠের সমতল থেকে ২ ইঞ্চি উঁচুতে অথবা চোখের সমতলে স্থাপন করতে হয়। এর ফলে মুরগি পানি পান করার সময় মুখের খাদ্য পানির পাত্রে ফেলতে পারে না;

    • নিপল বা কাপ পাত্র এমন উঁচুতে স্থাপন করা হয় যেন মুরগি ঘাড় বা ঠোঁট উঁচু করে পানি পান করতে পারে।


    ব্রয়লারের জন্য প্রয়োজনীয় পানি পাত্রের পরিমাণ হলোঃ


    • ০ থেকে ২ সপ্তাহ: ৩০টি বাচ্চার জন্য একটি প্লাস্টিকের ৫ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গোলাকার ড্রিংকার।

    • ৩ সপ্তাহ থেকে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত: ২০টি বাচ্চার জন্য একটি প্লাস্টিকের ৫ লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গোলাকার ড্রিংকার।


    গ্রীষ্মকালীন গরমজনিত পীড়নের সময় খাদ্য দেওয়ার নিয়ম ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা

    গ্রীষ্মের গরমজনিত পীড়নের সময় মুরগি পালনের ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিতে হয় এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাতে বাসস্থানের পরিবেশ এবং দেহের অবস্থা কিছুটা আরামদায়ক করা যায়। খাদ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা উন্নত ও সময়োপযোগী করে মুরগিকে পীড়নের অবস্থা থেকে রক্ষা করা যায়। নিম্নে কতকগুলো ব্যবস্থাপনার বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:

    ১. সুপ্রতিষ্ঠিত এবং সুনাম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্ততকৃত ভিটামিন ‘সি’ প্রস্ততকারীর নির্দেশমত ঠান্ডা পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে লেবুর রস মিশ্রিত পানি দেয়া যেতে পারে;

    ২. অত্যাধিক গরমের সময় খাদ্য গ্রহণ কমে যায়। এ সময় খাদ্যে আমিষের পরিমাণ না বাড়িয়ে লাইসিন ও মিথিওনিন নামক দু’ টো এমাইনো এসিডের পরিমান প্রয়োজনীয় তুলনায় বাড়িয়ে খাওয়াতে হবে;

    ৩. অল্প পরিমাণ খাদ্য থেকে যেন বেশি পরিমাণ শক্তি পায় এজন্য খাদ্যে কিছুটা চর্বিজাতীয় উপাদান মিশিয়ে খাওয়াতে হবে;

    ৪. খোলাঘরের ছাদে চট বিছিয়ে পানি দিয়ে ঘন ঘন ভিজিয়ে দিতে হবে;

    ৫. ঘরের ভিতরে ও বাইরে ফ্যান চালিয়ে বাতাস নাড়াচাড়ার ব্যবস্থা রাখলে মুরগির কিছুটা স্বসিত্ম পাবে।

    ব্রয়লার মুরগির খাবার

    সাধারণত: জন্মের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে বাচ্চা মুরগির খাদ্যের প্রযোজন হয় না। এ সময়ের মধ্যে বাচ্চা কিনে একস্থান থেকে অন্যস্থানে আনা নেয়া করা হয়। জন্মের পর খামারে আনার পর পরই খাবার পানি সরবরাহ করতে হবে। প্রথম ৪ দিন লিটারের উপরে কাগজ বা চট বিছিয়ে বা টিনের পাত পেতে তার উপরে চাল, গম বা ভূট্টার ক্ষুদ ছিটিয়ে দিতে হবে। ৩ দিনের দিন হোভারের নীচে বা বেষ্টনী গার্ডের মধ্যে পাত্রে খাবার দিতে হবে। সাথে আলাদা পাত্রে খাবার পানি দিতে হবে। আস্তে আস্তে খাবার পাত্রে খাদ্যাভ্যাস হয়ে গেলে মেঝেতে খাবার দেয়া বন্ধ করতে হবে। বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিতে নজর রাখতে হবে। ভিটামিন হিসাবে প্রচুর কাঁচা শাকসব্জি ভালোভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে দেয়া যেতে পারে।

    ব্রয়লার মুরগির খাদ্যে ফিড এডিটিভের প্রয়োজনীয়তা


    • সরবরাহকৃত খাদ্যের মান উন্নত করার জন্য;

    • অল্প সময়ে বেশি ওজন প্রাপ্তির জন্য;

    • রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য;

    • খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করার জন্য;

    • খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা বা এফ সি আর উন্নত করার জন্য।


    ব্রয়লারের সুষম রেশন তৈরির বিবরণ:

    ব্রয়লার প্রতিপালনে সুষম খাদ্যের ভূমিকা খুবই মুখ্য। ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনের শতকরা ৭০ ভাগ খরচ হয় খাদ্যের জন্য, তাই খাদ্যটি সঠিক অর্থেই সুষম হতে হবে। কেননা সুষম খাদ্য ব্যবহার করে উৎপাদনের অনুপাত আধুনিক ব্রয়লারের ৩০ থেকে ৩২ দিনে সাধারণত: ১.৫ থেকে ১.৬:১  অর্থাৎ দেড় থেকে পৌনে ১.৬ কেজি খাদ্য খাইয়ে এক কেজি ওজন পেতে হবে। এজন্য খাদ্যে বিদ্যমান প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের অভ্যন্তরে বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরযোগ্য হতে হবে। একদিন বয়স থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ব্রযলার বাচ্চাকে পর্যায় ক্রমে স্টার্টার, গ্রোয়ার ও ফিনিশার রেশন খাওয়ানো হয়।

    ব্রয়লার মুরগির সুষম খাদ্যে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানের মাত্রা























































    মুরগির বয়স

    আমিষ %

    লাইসিন %

    মিথিওনিন %

    ক্যালসিয়াম %

    ফসফরাস %

    চর্বি %

    ছোবড়া %

    স্টারটার

    ২২-২৩

    ১.৩০

    ০.৬০

    ১.২

    ০.৮

    ৩-৫

    ৩-৫

    বাড়ন্ত

    ২০-২১

    ১.২৫

    ০.৫৭

    ১.০

    ০.৮

    ৩-৫

    ৩-৫

    ফিনিশার-১

    ১৯-২০

    ১.০৫

    ০.৪৭

    ০.৯

    ০.৭

    ৪-৭

    ৩-৫

    ফিনিশার-২

    ১৮-১৯

    ০.৯৫

    ০.৪৩

    ০.৮

    ০.৭

    ৪-৭

    ৩-৫


    • ষ্ট্রেইন ভেদে পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।


    বয়সভেদে হাবার্ড ক্লাসিক ব্রয়লার মুরগির দৈহিক ওজন ও খাদ্য গ্রহণ









































    বয়স (সপ্তাহ) পর্যন্ত

    দৈহিক ওজন (গ্রাম)

    গড় খাদ্য গ্রহণ (গ্রাম/ব্রয়লার মুরগি)

    খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা


    ১৭০

    ১৫৮



    ৪৪৭

    ৫৫৭



    ৮৭১

    ১২১১

    ১.৩৯


    ১৩৭৫

    ২০৪৯

    ১.৪৯


    ১৯১৮

    ৩১২৫

    ১.৬৩


    • ২০০৪ সালের সংগৃহীত তথ্য। আধুনিক মান সম্পন্ন ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবিত উপাত্ত। একই ষ্ট্রেইন ৩২ দিনে ২৬৩২ গ্রাম খাবার খেয়ে ১৬৮১ গ্রাম ওজন হতে পারে। এক্ষেত্রে খাদ্য রূপান্তর দক্ষতা হবে ১.৫৭।


    খাদ্য সরবরাহ ও দৈহিক ওজন বৃদ্ধি প্রয়োজনীয় পুষ্টিমাণ সম্পন্ন খাদ্য সরবরাহ করে ব্রয়লার মুরগির ওজন দ্রুত বাড়ানো যায়। এদের খাদ্য রূপান্তর হার ঠিক রেখে খাদ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে ৫ সপ্তাহে পুরুষজাতের ব্রয়লার প্রায় ২ কেজি এবং স্ত্রীজাত ১.৭৫ কেজি পর্যন্ত ওজন হতে পারে।

    ব্রয়লার মুরগীর খাদ্যে বায়োটিনের প্রয়োজনীয়তাঃ

    ১) বায়োটিন মুরগির দৈহিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।

    ২) শর্করা জাতীয় খাদ্য বিপাকের জন্য বায়োটিন সম্পৃক্ত উৎসেচক (এনজাইম)-এর প্রয়োজন হয়।

    ৩) বায়োটিনের অভাবে বাড়ন্ত মুরগির চামড়ায় প্রদাহ বিশেষ করে পায়ের আঙ্গুলে বা ঠোঁটের সংযোগ স্থানের চামড়া শক্ত খসখসে হয়ে যায়।

    ৪) বায়োটিনের অভাবে ২ থেকে ৪ সপ্তাহ বয়সের ব্রয়লার মুরগির কিডনিতে ও লিভারে রোগ দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্ত ব্রয়লার মুরগি নড়াচড়া করতে পারে না, শুয়ে থাকে এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মারা যায়। খাদ্যে বিদ্যমান সবটুকু বায়োটিন শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শরীরের দৈহিক বৃদ্ধি বা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়, ফলে সুষম খাদ্য খাওয়ানোর পর আনুপাতিক হারে ব্রয়লার মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি ঘটলেই খাদ্যটি সুষম বলে বিবেচিত হয়ে থাকে।

    লেয়ার মুরগির খাবার
    বয়স ও উপযোগিতা অনুসারে খাদ্যের গুণগত মান (ম্যাস খাদ্য)









































    বয়স ও উপযোগিতা

    আমিষ
    (শতকরা হার )

    ঝিনুক চূর্ণ
    (শতকরা হার)

    আঁশ
    (শতকরা হার)

    বাচ্চা ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত

    ১৯ থেকে ২০


    ৫ ভাগ

    বাচ্চা ৬ থেকে ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত

    ১৪ থেকে ১৫

    ১.৫ ভাগ

    ৫ ভাগ

    বাচ্চা ১৫ থেকে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত

    ১৩ থেকে ১৪

    ২.৫ ভাগ

    ৫ ভাগ

    ২১ সপ্তাহের উর্ধ্বে এবং

    ১৬ থেকে ১৭

    ৮ থেকে ১০ ভাগ

    ৫ থেকে ৬ ভাগ

    পূর্ণ ডিম পাড়া অবস্থায়

    ১৬ থেকে ১৭

    ৮ থেকে ১০ ভাগ

    ৫ থেকে ৬ ভাগ

    লেয়ার মুরগির খাদ্যের বিভিন্ন উপকরণ মিশ্রণের শতকরা অনুপাত (একটি নুমনা)







































































    উপকরণের নাম

    বাচ্চার খাদ্য
    ১ থেকে ৮ সপ্তাহ

    বাড়ন্ত মুরগি
    ৯ থেকে ২০ সপ্তাহ

    লেয়ার মুরগি
    ২০ সপ্তাহের উপরে

    গম ভাংগা

    ৩২৭.৫ গ্রাম

    ৩৪৭.৫ গ্রাম

    ২২৭.৫ গ্রাম

    চাউলের কুঁড়া

    ১৬০.০ গ্রাম

    ২০০.০ গ্রাম

    ১৮০.০ গ্রাম

    ভূট্টা ভাঁঙ্গা

    ২০০.০ গ্রাম

    ২০০.০ গ্রাম

    ২৫০.০ গ্রাম

    তিলের খৈল

    ৭৫.০ গ্রাম

    ৫.০ গ্রাম

    ৭৫.০ গ্রাম

    সয়াবিন মিল

    ১৬০.০ গ্রাম

    ১০০.০ গ্রাম

    ১৩০.০ গ্রাম

    প্রোটিন কনসেনট্রেট

    ৭০.০ গ্রাম

    ৫০.০ গ্রাম

    ৭০.০ গ্রাম

    লবণ

    ৫.০ গ্রাম

    ২.০ গ্রাম

    ৫.০ গ্রাম

    ঝিনুক চূর্ণ

    -

    ২.০ গ্রাম

    ৮.০ গ্রাম

    ভিটামিন মিনারেল প্রিমিক্স

    ২.৫ গ্রাম

    ২.৫ গ্রাম

    ২.৫ গ্রাম

    সুষম খাদ্য (মোট)

    ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি

    ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি

    ১০০০ গ্রাম বা ১ কেজি


    • পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা মিটাতে খাদ্য উপকরনের পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।

    • শুটকী গুড়ার পরিবর্তে বর্তমানে উদ্ভিজ ও প্রাণীজ প্রোটিন কনসেনট্রেট ব্যবহার করা হচ্ছে।


    লেয়ার মুরগির পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয় পরিমাণ
































































    পুষ্টি উপাদানের নাম

    খাদ্যের ধরন

    লেয়ার ষ্ট্রার্টার

    লেয়ার গ্রোয়ার

    প্রি-লোয়ার

    লেয়ার -১

    লেয়ার-২

    বিপাকীয় শক্তি

    (কি. ক্যালরি /কেজি)

    ২৯৫০

    ২৮৫০

    ২৭৫০

    ২৮০০

    ২৮০০

    আমিষ (%)

    ২০.৫

    ২০

    ১৭.৫



    লাইসিন (%)

    ১.১৬

    ১.০৩

    ০.৮৭

    ০.৮২

    ০.৭৮

    মিথিওনিন (%)

    ০.৫২

    ০.৪৭

    ০.৩৮

    ০.৪১

    ০.৪০

    ক্যালসিয়াম(%)

    ১.০৫

    ০.৯০

    ০.৯৫

    ৩.৮

    ৩.৬

    ফসফরাস (লভ্য) (%)

    ০.৪৮

    ০.৪৪

    ০.৪৭

    ০.৩৫

    ০.৩৩


    • ২০০০ সালে প্রকাশিত শেভার ৫৭৯ বাদামী মুরগির প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী যখন লেয়ার-১ যখন ১১০ গ্রাম ও লেযার ২ যখন ১১৫ গ্রাম দৈনিক খাবার খাবে। ষ্ট্রেইন ও পরিবেশের তাপমাত্রা ভেদে পুষ্টি উপাদানের প্রয়োজনীয়তা কমবেশি হতে পারে।








    তথ্য:


    তথ্য আপা প্রকল্প


    0 comments:

    Post a Comment