
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের পুরনো ও ঐহিত্যবাহী গাছ সংরক্ষণের প্রচেষ্টা হিসেবে বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের জীববৈচিত্র্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ছাড়াও সংরক্ষিত বনভূমির পুরান গাছের আবর্তনকাল উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাখার ব্যবস্থার জন্য আইনটি প্রস্তাব করা হয়েছে। আমাদের কোন কোন গাছ আছে শতবর্ষী।’
‘আইনটি মন্ত্রিসভায় ব্যাপক পর্যালোচনার পর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ব্যাপক পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর এটি আবার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় আনা হবে’ বলেন শফিউল আলম।
চা আইন চূড়ান্ত অনুমোদন
‘চা আইন, ২০১৬’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এর আগে গত বছরের ২৬ জানুয়ারি আইনটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
সামরিক শাসনামলের ‘টি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭’ প্রণয়ন করা হয়, এরপর ১৯৮৬ সালে এটি সংশোধন করা হয়। এটিকে যুগোপযোগী করে আইনে পরিণত করতে খসড়াটি উপস্থাপন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
নতুন আইনে তেমন কোন পরিবর্তন নেই জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালত সামরিক শাসনামলের আইনগুলো নিষিদ্ধ করায় আগের আইনটি সামান্য পরিমার্জনসহ বাংলায় নতুন আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। মূলত চা বোর্ডের ব্যবস্থাপনার জন্য এ আইন।’
বর্তমান আইনে শাস্তির বিধান বিস্তৃতভাবে বলা নেই। শাস্তির পরিমাণও কম। খসড়া আইনে এটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে বেশিরভাগ চা বাগানই বেসরকারি মালিকানায়। চা আবাদের জন্য ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ রয়েছে এবং ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে চা চাষ হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘খসড়া আইনে সর্বোচ্চ দু’বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানার পরিমাণ বড় বাগানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা ও ছোট বাগানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূল অধ্যাদেশে উপকরণ, কমিটি, চা বর্জ্য, কর্মচারীর সংজ্ঞা নেই। নতুন আইনে এ সংজ্ঞাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। চা-এর সংজ্ঞা বিস্তৃত করা হয়েছে খসড়ায়।’
অধ্যাদেশ প্রণয়ণের সময় সিলেট বিভাগ হয়নি তাই খসড়া আইন অনুযায়ী চা বোর্ডে সিলেট বিভাগের কমিশনার অন্তর্ভুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
0 comments:
Post a Comment