Monday, April 25, 2016

Tagged Under: , , ,

চিলমারীতে বোরোর বাম্পার ফলন

  • Share The Gag
  • কুড়িগাম জেলার চিলমারী উপজেলায় চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সল্প মেয়াদী আগাম জাতের ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকরা। এবারে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঠে উঠেছে হাঁসির ঝিলিক। মনে আনন্দ নিয়েই মাঠে মাঠে নেমে পড়েছে কৃষকগন। শিলা ও অতি বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে বৈশাখের শুরুতেই স্থানীয় ও হাইব্রিড জাতের ধানগুলো পাকতে শুরু করায় ধান কাটতে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা। গত আমন মৌসুমের শুরুতে তিন দফা বন্যায় বড় ধাক্কার মুখে পড়েন চাষীরা। তাই আর কোন দুর্যোগের কবলে যেন না পরতে হয় সেটা ভেবেই অনেকেই আবার আধা-পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন।

    চিলমারীর কৃষকরা লাভের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করেন ধান চাষ করেন। কৃষকের পরিশ্রমে ইরি-বোরো মৌসুমের বিআর-২৮ ধান বেশ ভালো ফলন হয়েছে। তাই আর দেরী না করে বোরো ধান কাটতে ব্যস্ত কৃষকরা। ঠগেরহাট এলাকার হাবিব, মাছাবান্দা গ্রাামের কৃষক খয়বর হোসেন ও বাদশা জানান, আগাম জাতের বোরো ধান কাটতে শুরু করেছি।

    আবহাওয়াতো এখন ভালো আবার কখন যে কি হয় কে জানে। বৈশাখী ঝড় বা শিলাবৃষ্টি যখন তখন হতে পারে। রাত হলেই গা ছম ছম করে তাই অাগাম সব প্রস্তুতি নিচ্ছি। থানাহাট, রমনা ও রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েক জন কৃষক জানান, ধানের দাম কম। তাই লোকসান গুনতে হবে তাদের। প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা। এই পরিমান টাকা খরচের পর কৃষকের ঘরে বিঘা প্রতি ধান উঠছে ১৩ থেকে ১৫ মণ। বাজারে সাড়ে চারশ’ থেকে ৫ শ’ টাকার উপরে ধানের দাম উঠছে না। যার ফলে লাভ তো দূরের কথা-উৎপাদন খরচ তোলাও কষ্ট কর হয়ে পড়েছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। এরপরও তাদের মনে আনন্দ ফলন হয়েছে বাস্পার। তারা আরো জানান তবে শুনতেছি সরকার ধানের দাম বৃদ্ধি করবে বৃদ্ধি হলেই আমাদের আশা পূরন হবে।

    উপজেলা কৃষি অফিসার, খালেদুর রহমান জানান, এবার উপজেলায় ইরি-বোরো মৌসুমে ৬হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করার লক্ষ মাত্রা ছিলো । তবে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সব মিলে চলতি ইরি-বেরো মৌসুমে বোর আবাদের বেশ ফলন ভালো হয়েছে।

    0 comments:

    Post a Comment