Thursday, April 21, 2016

Tagged Under: , , ,

রাজনগরে ধান কেটে ফেলতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ

  • Share The Gag

  • ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পূর্বাভাস পাওয়ায় কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছে রাজনগর উপজেলা কৃষি বিভাগ। ২২-২৩ এপ্রিল এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্ক করায় কৃষি কর্মকর্তারা দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষকদের।

    রাজনগর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বোরো মৌসুমে রাজনগর উপজেলায় ১২ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছে। এ সব জমি থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০৯ মেট্রিকটন। এর মধ্যে কাউয়াদীঘি হাওরে ৩ হাজার ৪২০ হেক্টর বোরো জমি আবাদ করা হয়েছে। তবে এবার আগাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে হাওরের নিচু জমির ২ হাজার একর আধাপাকা বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে যায়।

    পানি নিষ্কাশনের জন্য মনুব্যারেজ প্রকল্পের কাশিমপুর পাম্প হাউজে চাহিদামতো বিদ্যুৎ না থাকায় হাওরের অতিরিক্ত পানি সেচ দেয়া সম্ভব হয় না। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাশিমপুর পাম্প হাউজে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ ভল্টেজ না থাকায় শ্রীমঙ্গল থেকে চাহিদামতো বিদ্যুৎ এনে পানি সেচ দেয়ায় কিছুটা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছে।

    এদিকে গত শনিবার জেলা সার্কিট হাউজে প্রশাসন ও কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে সভায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আগাম সতর্কতা হিসেবে বলা হয়েছে- পর্যালোচনা করে দেখা গেছে প্রতি ৬ বছর অন্তর ২২-২৩ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টিসহ ব্যাপক প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। এবছরও ২২-২৩ এপ্রিল এর সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে কৃষকদের এব্যাপারে সতর্ক করে ৭৫-৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এতে দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

    কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ পর্যন্ত কাউয়াদীঘি হাওরে ৭০ ভাগ এবং উপরে (হাওর ছাড়া অন্য এলাকায়) ১৫% ধান কাটা হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ আজিজুর রহমান বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্ক করায় আমরা ৭৫-৮০ ভাগ ধান পেঁকে গেলে ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। কৃষকরাও ধান কাটতে শুরু করেছেন।

    মৌলভীবাজার প্রতিনিধি





    0 comments:

    Post a Comment