Monday, April 25, 2016

Tagged Under: , , ,

কৃষকদের স্থায়ী উন্নয়নের পরিকল্পনা

  • Share The Gag
  • বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষক বাঁচলেই দেশ বাঁচবে। কৃষকদের স্থায়ী উন্নয়নের মাধ্যমেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আর তাই কৃষকদের উন্নয়নে স্থায়ী এবং দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনার এনএটিপি-২ দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করছে সরকার। এ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক, যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি)। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠকে অনুমোদন পায় এনএটিপি-২ (ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম-দ্বিতীয় পর্যায়) কর্মসূচিটি।

    প্রকল্পটি ২০২১ সালের মধ্যে যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, মৎস্য অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট। পনের বছর মেয়াদী এ পরিকল্পনার প্রথম অংশ ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। আরো জানা যায়, ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ অত্যন্ত দুর্যোগপ্রবণ দেশ।

    এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ কৃষি খাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদন মূলত ছোট আকারের মিশ্র খামার প্রকৃতির। ধান ও অন্যান্য ফসলের উৎপাদনশীলতা এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। কৃষকের উৎপাদন ও গবেষণা পর্যায়ের উৎপাদন হারের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। উচ্চ মূল্যের কৃষি পণ্যের উৎপাদন বহুমুখীকরণের আশানুরূপ নয়। এসব সমস্যা হতে পরিত্রাণ পেতে দুর্যোগ সহিঞ্চু কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সামগ্রিক কৃষির উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষিজ আয় বহুমুখীকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি খাতের দক্ষতা বৃদ্ধি, গবেষণা সম্প্রসারণ, সেবা কার্যকর ও স্থায়িত্বশীলকরণ ও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করার লক্ষ্যে এ কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে পরিকল্পনা কমিশন।

    ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২য় পর্যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৭৮ কোটি টাকা। মান সম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৪৪ কোটি ৯১ লাখ টাকা। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

    0 comments:

    Post a Comment