Monday, April 25, 2016

Tagged Under: , , , , , ,

দিনাজপুরে ১ যুগে দ্বিগুণ বেড়েছে ভূট্টার চাষ

  • Share The Gag
  • ভূট্টা বর্তমানে দিনাজপুর জেলার প্রধান অর্থকরী ফসলের মধ্যে একটি। গত এক দশকে এ জেলায় ভূট্টার চাষ কয়েক গুণ বেড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ফলনও হচ্ছে বাম্পার।

    এক সময় যে সব জমিতে কখনো চাষাবাদ করতে দেখা যেতনা, বর্তমানে সেসব জমিতে ভূট্টা চাষে মেতে উঠেছেন চাষিরা।

    শুধু অব্যবহৃত জমিই নয়, বোরো, গম, শাকসবজি ইত্যাদি ফসলের জমিতেও এখন ভূট্টার চাষ করা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে সাধারণ চাষিরা বলেন, স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় অনান্য ফসল চাষ না করে বর্তমানে ভূট্টা চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে।

    দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০০ সাল বা এর আগে থেকে দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভূট্টার চাষ শুরু হয়। কিন্তু ২০০৫ থেকে ব্যাপক হারে এর চাষ বাড়তে থাকে যা বর্তমানে ২০১৬ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা এ বিষয়ে আমার সংবাদকে বলেন, এক যুগে এ জেলায় ভূট্টা চাষে বিপ্লব ঘটেছে। দিন দিন যে হারে ভূট্টার চাষ বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে, দেশের চাহিদা মিটিয়ে আগামীতে রপ্ত‍ানিও করা যাবে। ভূট্টা বর্তমানে দিনাজপুরের প্রধান অর্থকারী ফসলের একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    এ বছর চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। তবে উৎপাদনও ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। চলতি মৌসুমে ৬৫ হাজার ১৭ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলেও ৬৭ হাজার ২৩৫ হেক্টরে ইতোমধ্যে ভূট্টা বীজ রোপণ করা হয়েছে। এখনো ভূট্টা বীজ রোপণ অব্যাহত রয়েছে। তবে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৫৫ হাজার হলেও আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দিনাজপুরের বিরল উপজেলার নাড়াবাড়ি এলাকার ভূট্টা চাষি ইউসুফ আলী আমার সংবাদকে বলেন, ভূট্টার উৎপাদন খরচ কম ও বিক্রিতে লাভ বেশি হওয়ায় এর চাষে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। আমি গত বছর ১০ বিঘা জমির মধ্যে পাঁচ বিঘায় গম ও পাঁচ বিঘায় ভূট্টার আবাদ করেছিলাম। ভূট্টায় যে পরিমাণ লাভ পেয়েছি সে পরিমাণে গম চাষে লাভ পাইনি। তাই এবার পুরো জমিতেই ভূট্টার আবাদ করছি।

    [paypal_donation_button]

    0 comments:

    Post a Comment