Monday, June 12, 2017

Tagged Under: , , , , , ,

কাঁচা পেঁপে পাকা পেঁপে দুটোই খান - ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক পেঁপে পাতা?

  • Share The Gag
  • কাঁচা পেঁপে পাকা পেঁপে দুটোই খান

    সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়। পেঁপে একদিকে যেমন সবজি, অন্যদিকে ফল। কাঁচা থাকতে পেঁপে সবজি—ভর্তা, ভাজি আর রান্না করে খাওয়া যায়। আর পাকলে পেঁপে হয়ে যায় সুস্বাদু ফল। অতিপরিচিত পেঁপের আরেকটি নামও কিন্তু আছে, নামটি হলো অমৃততুন্বী।
    নামের জন্য নয়, গুণ বিচারের কথা জানতে গিয়েছিলাম বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদের কাছে।

    তিনি বলেন, ‘১০০ গ্রাম পেঁপেতে শর্করা থাকে ৭.২ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩২ কিলোক্যালরি, ভিটামিন সি ৫৭ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৬.০ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, খনিজ ০.৫ মিলিগ্রাম এবং ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম। এই উপাদানগুলো শুধু শরীরের চাহিদাই মেটায় না, রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়।’
    হৃদ্স্বাস্থ্য সুরক্ষায়: প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে পেঁপেতে। এই উপাদানগুলো রক্তনালিতে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল জমতে বাধা দেয়। তাই হৃদ্স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং উচ্চরক্তচাপ এড়াতে পেঁপে খেতে পারেন নিয়ম করে।
    ওজন নিয়ন্ত্রণে: শরীরের মেদ ঝরাতে যাঁরা তৎপর, তাঁদের খাদ্যতালিকায় পেঁপে রাখুন। একদিকে যেমন কম ক্যালরি আছে, অন্যদিকে থাকা আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সবজি হিসেবে পেঁপে অনন্য।
    প্রতিরোধ ব্যবস্থায়: দেহের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদারে ভূমিকা রাখে পেঁপে। নিয়মিত পেঁপে খেলে সাধারণ রোগবালাই দূরেই থাকে।
    ডায়াবেটিস রোগের পথ্য: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ ফল। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁপে শুধু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যই প্রয়োজনীয় ফল নয়, ডায়াবেটিস রোগ এড়ানোর জন্যও পেঁপে খান।
    চোখ ভালো রাখতে: এর ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
    বয়স ধরে রাখবে: পেঁপের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো বয়সের ছাপ লুকিয়ে ফেলতে খুব দক্ষ। নিয়মিত পেঁপে খেলে ত্বকে বলিরেখা পড়ার প্রবণতা ধীর হয়ে যায়।
    ক্যানসার প্রতিরোধী: কোলন ও প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে এটি উপকারী।
    হজমশক্তি বাড়াতে: উৎসব-পার্বণে ভূরিভোজটা একটু বেশিই হয়ে যায়। এ জন্য বিড়ম্বনাও কম হয় না। হজমশক্তি বাড়াতে এবং পেটের গোলযোগ এড়াতেও খেতে পারেন পেঁপে।

     

    ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিষেধক পেঁপে পাতা?

    সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উদ্ভাবিত হয়েছে যে পেঁপে পাতা ডেঙ্গুর জন্য বেশ কার্যকরী প্রতিষেধক। কারন পেঁপে পাতার রসে রয়েছে থ্রম্বোসাইটিস যা রক্তের প্লাটিলেট উৎপাদনে সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে।

    গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন AIMST ভার্সিটির প্রফেসর ডক্টর এস. কাঠিরেসান। ডক্টর এস. কাঠিরেসান এর মতে ডেঙ্গুর ভাইরাস মূলত আমাদের রক্তের প্লাটিলেট কমিয়ে দেয়। সাধারণত প্লাটিলেটের জীবনকাল ৫ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত। এরপরে আবার প্রয়োজন অনুসারে নতুন প্লাটিলেট উৎপাদিত হয়। কিন্তু ডেঙ্গুর ভাইরাস শরীরে যতদিন কার্যকর থাকে ততদিন পর্যন্ত শরীরে নতুন প্লাটিলেট উৎপাদনের ক্ষমতা নিস্ক্রিয় থাকে। ফলে জটিল এক সমস্যার সৃষ্টি হয়।

    সাধারণত একজন সুস্থ মানুষের রক্তের স্বাভাবিক প্লাটিলেটের পরিমাণ হলো প্রতি মাইক্রো লিটারে ১৫০,০০০ থেকে ২৫০,০০০ পর্যন্ত। ডেঙ্গু হলে এই প্লাটিলেটের সংখ্যা খুব দ্রুত কমে যেতে থাকে।
    prothom-alo

    0 comments:

    Post a Comment