Monday, November 7, 2016

Tagged Under: , , ,

সাগরে মৎস্য জরিপের কাজে নামছে আরভি মীনসন্ধানী

  • Share The Gag
  • সমুদ্রসীমায় মৎস্য সম্পদ অনুসন্ধান ও জরিপের সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে সরকার। মালয়েশিয়া থেকে কেনা গবেষণা জাহাজ ‘আরভি মীনসন্ধানী’ দেশে এসেছে আগেই। নাবিকদের প্রশিক্ষণও শেষ পর্যায়ে। চলছে জাহাজের পরীক্ষামূলক চলাচল। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের। এর পরই শুরু হবে জরিপ। কার্যত এর মাধ্যমেই উন্মুক্ত হচ্ছে সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতির (ব্লু ইকোনমি) দুয়ার।
    সরকারের নীতিনির্ধারণী একাধিক সূত্র জানায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালের জুলাইয়ে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পর এই সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। দেশের সমুদ্র অঞ্চলের আয়তন হয় ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। ২০০ নৌ-মাইল বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ উপকূল থেকে ৬৬৪ নৌ-মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত হয় দেশের সমুদ্র অঞ্চল। এই অঞ্চলের প্রাণিজ, খনিজ ও অপ্রাণিজ সব সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার।
    সরকারের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, মৎস্য জরিপের পাশাপাশি, এ বছরের মধ্যে কিংবা আগামী বছরের গোড়ার দিকেই সমুদ্রবক্ষে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজও শুরু হচ্ছে। সেই কাজে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে অংশ নেবে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সও, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম। সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সমুদ্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য ভারত এবং চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকও সই করেছে সরকার।
    এ ছাড়া সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি চাঙা করার জন্য কী কী করা দরকার ও সম্ভব তা নির্ধারণ করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে একটি চুক্তি করা হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় দুই বছরের জন্য একটি গবেষণার কাজও শুরু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। তবে সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের প্রথম মাধ্যম হবে জরিপ জাহাজের মাধ্যমে মৎস্য সম্পদের অনুসন্ধান, জরিপ ও আহরণ বাড়ানো।
    বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতিবছর আহরিত মোট মৎস্য সম্পদের নগণ্য অংশ বাংলাদেশ আহরণ করছে। বঙ্গোপসাগর থেকে গত বছর মাছ ধরা পড়েছে মোট ৮০ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি। এর মধ্যে বাংলাদেশ আহরণ করেছে ১ লাখ টনেরও কম। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য অনুসন্ধান ও জরিপের তথ্য সম্বল করে মাছ আহরণের পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের লক্ষ্য।
    সেই লক্ষ্যে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও মালয়েশীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় ১২০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয় সরকার। প্রকল্পের আওতায় মালয়েশিয়া থেকে ৬৫ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে ‘আরভি (রিসার্চ ভেসেল) মীনসন্ধানী’ নামের জাহাজটি। বাকি টাকা অনুসন্ধান ও জরিপের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যয় সংকুলানের জন্য রাখা হয়েছে।
    গত ৬ জুন জাহাজটি দেশে আনা হয়েছে। এরপর নৌবাহিনী থেকে প্রেষণে আসা ক্রুদের প্রশিক্ষণ, জাহাজটির পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল ক্রুজিং) ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিমূলক কাজ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাজটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তারপরই শুরু হবে অনুসন্ধান ও জরিপের কাজ।

    সূত্রঃ প্রথম আলো।

    0 comments:

    Post a Comment