Friday, March 4, 2016

Tagged Under: , ,

পাটের তৈরি পণ্য রপ্তানিতে ভাটা

  • Share The Gag
  • ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি বেড়েছে। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি। এই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে কাঁচা পাট রপ্তানিতে। অন্যদিকে পাটের তৈরি সুতা-কুণ্ডলী এবং বস্তা ও ব্যাগের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।

    বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয় হয়েছিল ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৭ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে।

    ২০১৪-১৫ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

    চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ কোটি মার্কিন ডলার।

    ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে আয় হয়েছিল ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৪ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে প্রথম ৭ মাসের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসের তুলনায় পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি আয় ১ দশমিক ০৪ শতাংশ কমেছে।

    সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩২ দশমিক ০৭ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে।

    ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে পাটের সুতো ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩০ কোটি ১৩ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের তুলনায় এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় শূন্য দশমিক ৯৬ শতাংশ কমেছে।

    আলোচ্য সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ২৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৪ দশমিক ২২ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতে আয় হয়েছিল ৯ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

    চলতি অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি মেয়াদে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৪১ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১ দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

    0 comments:

    Post a Comment