Wednesday, May 11, 2016

Tagged Under: , , ,

পঞ্চগড়ে হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ বেড়েছে

  • Share The Gag
  • হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে এই অঞ্চলের কৃষকরা। তুলনামুলক কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় তারা ব্যাপক হারে এ জাতের বেগুন চাষ করছে।

    জানা গেছে, উপজেলায় ছয় থেকে সাত ধরনের হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে লুনা, তারাপুরী বারি-২, কাজলা বারি-৪, নয়ন তারা ও বারি-৫ ও বিজয়। সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে হাইব্রিড লুনা ও কাজলা জাতের বেগুন।
    কৃষকরা জানান, এই দুই জাতের বেগুন সারাবছর উৎপাদন করা যায়। এ ছাড়া গাছের সব শাখা প্রশাখায় বেগুন ধরে। চারা রোপণের দুই মাসের মধ্যে বেগুন উত্তোলন করা যায় এবং প্রচুর পরিমাণ ফলন দেয়।

    ঝলই শালশিড়ি ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে তিনি চার বিঘায় হাইব্রিড লুনা ও কাজলা বারি জাতের বেগুন চাষ করেছেন। তিনি বলেন, হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ খুব লাভজনক। এটি দ্রুত বেড়ে ওঠে ও অধিক ফলন হয়। তবে বেগুনটি চাষে খরচ একটু বেশি হয় বলেও তিনি জানান।

    বেংহারি ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের চাষি বাবুল হোসেন জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের বেগুন চাষ করেছেন। উৎপাদন খরচ বাদে ৮০ হাজার টাকার বেগুন তিনি বিক্রি করেছেন। তিনি আরও ৪০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রির আশা করছেন।

    উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২১০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করা হয়েছে।
    উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক জানান, এ জাতের বেগুন বছরের সবসময় কম বেশি চাষ হয়ে থাকে। হাইব্রিড জাতের চারা রোপনের সঙ্গে সঙ্গে সেচ,সার ও কীটনাশক অতি জরুরি। তিনি বলেন বেগুনের শশ্রু ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা। এসব দমন না করতে পারলে চাষির ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক পরিচর্যা করার জন্য খরচ একটু বেশি হয়ে থাকে।

    0 comments:

    Post a Comment